প্রতিদিন খালি পেটে খেজুর খেলে মিলবে ১০ উপকার
প্রতিদিন খালি পেটে খেজুর খেলে মিলবে ১০টি উপকার।
খেজুর এমন একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার, যা শরীরের যত্ন নিতে সারা বছর ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিদিন খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং এই ফলটি নানা গুণে ভরপুর।
খেজুরের উপকারিতা জানলে আপনি বিস্মিত হবেন। এটি শুধু পুষ্টি গুণেই নয়, নানা স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্যও পরিচিত। খেজুর শরীরের সঠিক কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুরে থাকা নানা ধরনের পুষ্টিগুণ নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের জন্যও সমানভাবে উপকারী।
খেজুরের গুণাগুণ আরও ভালোভাবে উপভোগ করতে, সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে পরদিন সকালে খালি পেটে খেলে তার উপকারিতা বেড়ে যায়। এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি চমকে উঠবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া, খেজুর খাবারের সঙ্গে মুখের লালা মিশাতে সাহায্য করে, ফলে বদহজমের সমস্যা অনেকটা কমে যায়।
মস্তিষ্ক সতেজ রাখে
মস্তিষ্কের ভালো স্বাস্থ্যের জন্য খেজুর খাওয়া খুবই কার্যকরী। খেজুরে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে এবং অ্যালঝাইমার রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি স্ট্রোক, কোলেস্টেরল এবং হার্টের রোগ থেকেও রক্ষা করে। তাই প্রতিদিন খেজুর খাওয়া খুবই উপকারী।
হাড় মজবুত করে
খেজুরে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান থাকে, যা হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে খেজুর খাওয়া উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাচ্চাদের রক্তের পরিমাণ বাড়াতে খেজুর ভিজিয়ে খাওয়া উচিত।
হাঁটুর ব্যথা কমায়
অনেক সময় হাঁটুর ব্যথা বেড়ে যায়। নিয়মিত খেজুর খেলে এটি কমে যেতে পারে, কারণ খেজুরে রয়েছে ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজসহ একাধিক পুষ্টি উপাদান, যা হাড়কে শক্তিশালী রাখে।
চোখের সমস্যা দূর করে
চোখের কর্নিয়াকে সতেজ রাখার জন্য ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার দরকার। যা খেজুর এর মধ্যে পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত খেজুর খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও শরীরের নানা ধরনের উপকার হয় নিয়মিত খেজুর খেলে। চোখের সুরক্ষা নিশ্চিত প্রয়োজন লুটেনিন ও জেক্সানথিনও যা এই খেজুরের মধ্যেই বিদ্যমান।
/p>
পুষ্টির ঘাটতি পূরণ
খেজুরে প্রাকৃতিক চিনির উপস্থিতি রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক নয়। তাছাড়া এতে প্রোটিন এবং নানা ভিটামিন রয়েছে, যা শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে। তাই যারা পুষ্টির অভাবে ভুগছেন, তাদের জন্য খেজুর একটি উপকারী খাবার।
গর্ভবতী মা ও সন্তানের জন্য উপকারী
খেজুর গর্ভবতী নারীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে উপস্থিত আয়রন গর্ভবতী নারীদের রক্তের ঘাটতি পূরণ করে এবং ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ উপাদান গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর জন্য অপরিহার্য। এছাড়া এটি শিশুর জন্মগত কিছু সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
ব্রণ থেকে মুক্তি
খেজুরে থাকা ভিটামিন বি৫, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্রণের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। এটি ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে।
ত্বক টান টান হয়
নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিপায় । এতে উপস্থিত উপাদান ত্বককে শিথিলতা থেকে মুক্ত রাখে এবং ত্বককে ভেতর থেকে সতেজ এবং সজীব করে তোলে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, মানব শরীরের উপকারী খাবার হিসেবে খেজুরের জুড়ি নেই। সকলেই নিয়মিত খেজুর খাবেন সুস্থ থাকবেন।
Comments
Post a Comment